Monday, June 27, 2016

মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমে (এমটিসিআর) ভারতের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি।।

আনুষ্ঠানিক ভাবে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারত। সোমবার সকালে নয়াদিল্লির ফরাসি দূতাবাস ভারত সরকারকে জানাল, মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমে (এমটিসিআর) ভারতের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি হয়ে গিয়েছে। ভারত এখন ওই সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। এনএসজি সদস্য হওয়া ঝুলে থাকলেও এমটিসিআর-এ অন্তর্ভুক্তিও খুব বড় মাইলফলক ভারতের জন্য। এনএসজিতে ভারতের প্রবেশের পথে যেমন কাঁটা বিছিয়ে রেখেছে চিন, ঠিক একই ভাবে এ বার এমটিসিআর-এ চিনের অন্তর্ভুক্তি আটকে দেওয়ার ক্ষমতাও হাতে পেয়ে গেল ভারত।
নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরের সময়ই সুখবরটা এসেছিল। এমটিসিআর-এর ৩৪টি সদস্য দেশের কেউই যে ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবে আপত্তি করেনি, তা মোদী জানতে পেরেছিলেন ওয়াশিংটনে বসেই। আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি বাকি ছিল। রবিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর আনুষ্ঠানিক ভাবে এমটিসিআর-এর অন্তর্ভুক্তি পত্রে সই করবেন। প্যারিসে সেই আনুষ্টানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সরকারি ভাবে ঘোষণা করল, ভারত এখন এমটিসিআর-এর পূর্ণাঙ্গ সদস্য। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩৫তম সদস্য হিসেবে এমটিসিআর-এ ভারতের অন্তর্ভুক্তি বিশ্বে পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধে আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে। এই নতুন অন্তর্ভুক্তি ভারতের পক্ষে যেমন লাভজনক, একই রকম ভাবে তা এমটিসিআর-এর জন্যও লাভজনক হল বলে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক মন্তব্য করেছে। এমটিসিআর-এর বাকি ৩৪টি সদস্য দেশকে ভারত সরকারের তরফে ধন্যবাদও দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
গোটা বিশ্বে পরমাণু প্রযুক্তি এবং পরমাণু অস্ত্রশস্ত্রের প্রসার রুখতে চারটি সংগঠন রয়েছে— এনএসজি, এমটিসিআর, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ এবং ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্ট। এই চারটির মধ্যে প্রথম দু’টির গুরুত্ব অবশ্য বেশ খানিকটা বেশি। কূটনৈতিক মহল সূত্রের খবর, এমটিসিআর-এর সদস্য হওয়ার পাশাপাশি ভারতের জন্য অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ এবং ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্টের দরজাও খুলে দিতে চলেছে আমেরিকা। শুধু এনএসজি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভারত এমটিসিআর-এর ৩৫তম সদস্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এনএসজিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে গেল বলে ভারতীয় কূটনীতিকরা মনে করছেন।
কেন এমন মনে করছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা?
এমটিসিআর এর সদস্য হওয়ার চেষ্টা চিনও অনেক দিন ধরেই করছে। চিনের আবেদন এক বার খারিজও হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও বেজিং হাল ছাড়েনি। এমটিসিআর-এর সদস্য হওয়ার জন্য পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ সংক্রান্ত যে সব শর্ত মেন চলতে হয়, চিন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে সেই সব শর্ত মেনে চলছে বেশ কিছু বছর ধরেই। চিনের সেই ট্র্যাক রেকর্ড এমটিসিআর-এ তাদের অন্তর্ভুক্তির পথ কিছুটা সহজ করে তুলছিল। কিন্তু ভারত এখন ওই সংগঠনের সদস্য হয়ে যাওয়ায় চিনের পথ এক ধাক্কায় অনেকটা কঠিন হয়ে গেল। এনএসজিতে নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির জন্য যেমন সব বর্তমান সদস্যের সম্মতি জরুরি, এমটিসিআর-এও তাই। অতএব, চিন যত দিন ভারতকে এনএসজিতে ঢুকতে বাধা দেবে, ভারতও তত দিন এমটিসিআর-এ চিনকে ঢুকতে দেবে না। সেই ক্ষমতা এ বার ভারতের হাতে চলে এল।

Thursday, June 23, 2016

ধর্মীয় কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর

         ধর্মীয় কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর
.......................................................................
প্রশ্ন- জীবনের উদ্দেশ্য কি ?
উওর - জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই চেতনাকে জাগ্রত করা - যেটা জন্ম এবং মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত আছে ।সেটাকে জানাই হচ্ছে মোক্ষ..!!
প্রশ্ন- জন্ম আর মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত কে ?
উওর - যিনি স্বয়ং নিজে ঐ আত্মাকে জেনে ফেলেছেন , তিনিই জন্ম ও মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছেন ।
প্রশ্ন - সংসারে দুঃখ কেন আছে ?
উওর - লোভ , স্বার্থ আর ভয়ই সংসারে দুঃখের মুখ্য কারন ।
প্রশ্ন - ঈশ্বর কি দুঃখের রচনা করেছেন ?
উওর - ঈশ্বর সংসার রচনা করেছেন আর মনুষ্য নিজের বিচার আর কর্মের দ্বারাই দুঃখ আর সুখের রচনা করেছেন ।
প্রশ্ন - ঈশ্বর কি আছেন ? কে উনি ?
উওর - কারন ছাড়া কার্য হয় না । এই সংসার ঐ কারনেরই অস্তিত্বের প্রমান । তুমি আছো আর সেইজন্যই তিনিও আছেন। ঐ মহান কারনেকেই আধ্যাত্মের ভাষায় ' ঈশ্বর ' বলা হয়ে থাকে ।
প্রশ্ন - এই জগতে সবচেয়ে বড় আশ্চর্য কি ?
উওর - রোজ হাজারো লোকের মৃত্যু হচ্ছে এবং এটা সবাই দেখছে , তথাপি সবাই অনন্তকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে - এরচেয়ে বড় আশ্চর্যের আর কি হতে পারে ।
প্রশ্ন - ভাগ্য কি ?
উওর - প্রত্যেক ক্রিয়া , প্রত্যেক কার্যের ই একটি পরিনাম থাকে । পরিনাম ভালও হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে । এই পরিনামইহচ্ছে ভাগ্য তথা আজকের প্রযত্নই কালকের ভাগ্য ।
প্রশ্ন - কোন জিনিষকে হারিয়ে মানুষ ধনী হতে পারে ?
উওর - লোভ ।
প্রশ্ন - জীবনে সুখী থাকার উপায় কি ?উওর - ভাল স্বভাব ।
প্রশ্ন - কোন জিনিষ হারিয়ে গেলে দুঃখ হয় না ?উওর - ক্রোধ ।
প্রশ্ন - ধর্ম ছাড়া এই সংসারে আরেকটি মূল্যবান জিনিষ কি ?
উওর - দয়া ।
প্রশ্ন - কোন জিনিষ অপরকে দেওয়া উচিৎ নয় ?উওর - কষ্ট ও বিশ্বাসঘাতকতা ।
প্রশ্ন - কোন জিনিষ জীবকে সবকিছু করতে বাধ্য করায় ?
উওর - নিরুপায় বা মজবুরি ।
প্রশ্ন - এই দুনিয়ার সবচেয়ে অপরাজিত জিনিষ কোনটি ?
উওর - সত্য ।
প্রশ্ন - সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক কার্য কোনটি ?
উওর - পরোপকার ।
প্রশ্ন - দুনিয়ার সবচেয়ে স্বর্গীয় স্বপ্ন কি ?
উওর - জীবের বেঁচে থাকার স্বপ্ন ।
প্রশ্ন - দুনিয়ার সবচেয়ে অপরিবর্তনীয় জিনিষ কোনটি ?
উওর - মৃত্যু ।
প্রশ্ন - কোন জিনিষ জীব স্বয়ং বুঝতে পারেনা ?উওর - নিজের মুর্খতা ।
প্রশ্ন - দুনিয়ার কোন জিনিষ কখনো নষ্ট হয় না ?উওর - আত্মা ও জ্ঞান ।
প্রশ্ন - দুনিয়ার কোন জিনিষ কখনো থেমে থাকেনা ?
উওর - সময়

Thursday, June 9, 2016

সামরিক ক্ষেত্রে ভারতের একের পর এক অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত প্রতিবেশী পাকিস্তান।

সামরিক ক্ষেত্রে ভারতের একের পর এক অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত প্রতিবেশী পাকিস্তান।
সম্প্রতি, ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডিআরডিও)। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পাকিস্তানের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ জানান, ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী মিসাইল নিয়ে ভারত নিরাপত্তার ঢাকঢোল পেটাতে পারে, কিন্তু তাতে ওই অঞ্চলে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
গত ১৫ মে, ওড়িশার বালাসোর থেকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী সুপারসনিক ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ভারত। এই মিসাইলের বৈশিষ্ট্য হল, তা ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে যে কোনও শত্রুদেশের ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
সূত্রের খবর, ভারতের এই পরীক্ষার জেরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাক সেনেট। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় নওয়াজ শরিফ সরকারকে। পাক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সরকারি জবাবে আজিজ বলেন, ভারত একদিকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশীর কথা বলছে, অন্যদিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।
বিরোধীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে আজিজ জানান, ভারতের এই মিসাইল পরীক্ষা ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে পরমাণু-যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তাঁর দাবি, নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপ গোটা অঞ্চলে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আশ্বাস দেন, নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পাক সবরকম চেষ্টা করবে।
কিন্তু, আজিজের এই আশ্বাসে কতটা চিড়ে ভিজেছে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ, পাক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিরোধী দলগুলি এখন থেকেই পাক এই পরিস্থিতির জন্য কূটনীতির ব্যর্থতাকেই দায়ী করছে।
তাদের দাবি, একদিকে যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম (এমটিসিআর) এবং নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ (এনএসজি)-তে ঢোকার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে পাকিস্তান ক্রমশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ কয়েদ-এ-আজম (পিএমএল-কিউ) সাংসদ মুশাহিদ হুসেন সঈদ জানান, সোলে আসন্ন এনএসজি-র সম্মেলনে ভারতের অন্তর্ভুক্তির জমি প্রায় তৈরি। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। ভারতীয়রা আমাদের চারদিকে থেকে ঘিরে ধরেছে। এমনকী, আমাদের প্রতিবেশি আফগানিস্তান ও ইরানও ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কারণ, আমাদের দুর্বল বিদেশ-নীতি।’
আবার পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সাংসদ ফারহাতুল্লা বাবর বিদেশ নীতির ব্যর্থতার পিছনে দেশের প্রতিরক্ষা নীতিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে গিয়ে নন-স্টেট অ্যাক্টরদের পুষতে হয়েছে। এখন তার ফল ভুগতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে উদ্যত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, ভারত তীব্র আপত্তি তোলে। আপত্তি ওঠে মার্কিন সেনেটেও। ফলে, ওয়াশিংটন জানিয়ে দেয়, পুরো টাকা একলপ্তে মেটালে তবেই পাকিস্তান ওই যুদ্ধবিমান পাবে (যা পাকিস্তানের পক্ষে কোনওমতেই সম্ভব নয়)।
পাকিস্তানের ধারণা, ভারত কলকাঠি নেড়ে এই চুক্তি বাতিল করিয়েছে।এবার বুঝতে মোদীজির কলকাঠি নারা বার ক্ষমতা আছে নিজের দেশের জন্য।।

মার্কিন কংগ্রেসে মোদীর ঐতিহাসিক ভাষণ।।

আজ থেকে ঠিক 123 বছর আগে আমেরিকার মাটিতে এক অপরিচিত "নরেন্দ্রের" ভাষণে মুগ্ধ হয়ে করতালিতে ভরিয়ে দিয়েছিল সে দেশের মানুষ। আর ৮জুন ২০১৬ তারিখ 123 বছর পরে আর এক "নরেন্দ্রের " ভাষন শুনে করতালি দিয়ে ভরিয়ে দিল আমেরিকা।
.
...বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর সংসদ মার্কিন কংগ্রেসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর এদিনের ভাষণ ছিল এককথায় ঐতিহাসিক ! ভাষণের বিষয়বস্তু বাদ দিয়েও অন্য অনেক কারণেই ভাষণটি ছিল ঐতিহাসিক!
.
...মোদীজী সংসদে প্রবেশ করা মাত্র সমস্ত সাংসদেরা উঠে দাঁড়িয়ে মোট 3 মিনিট 36 সেকেন্ড ধরে করতালি দিয়েছেন ! মোট 46 মিনিটের ভাষণে মুগ্ধ মার্কিন সাংসদরা 72 বার করতালি দিয়েছেন আর 9 বার স্ট্যান্ডিং ওবেসন দিয়েছেন মোদীজীকে ! মোদীজীর হাস্যরসে মোদিত হয়েও তারা হেসেছেন 9 বার। কোন চিরকুট হাতে না রেখেও ফ্লুয়েন্টলি ইংরাজীতে ভাষন দিয়েছেন মোদীজী ! এই কয়েকটি বিষয়ে দেখে নিশ্চয়ই আমাদের দেশের মোদী বিরোধীরা হেঁচকি তুলতে শুরু করেছে ! ঘুম ছুটে গেছে চিন-পাকিস্তান সহ তাদেরও।
.
...মার্কিন সাংসদরা মোদীজীর ভাষন শুনে এতটাই মুগ্ধ যে সংসদের মধ্যে ভাষন শেষে সিনেমার নায়কদের ফ্যানেদের মতো সাংসদরা মোদীজীর অটোগ্রাফ নেবার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায় ! ভাবতে পারছেন হুড়োহুড়ি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের সাংসদরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ নিচ্ছেন। আমরা সবাই জানি মোদীজীর কট্টর সমর্থকদের বলা হয় "মোদী ভক্ত"। আজ যেন আমেরিকান সেনেটররাও 'মোদী ভক্ত' হয়ে গেলেন।
.
...সন্ত্রাসবাদের জনক চিন-পাকিস্থানকে কোণঠাসা করতে আফগানিস্তান, ইরান, সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরসাহী, ভিয়েতনাম, জাপান, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের নতুন কেমিস্ট্রি বিশ্ব রাজনীতিটাকেই আগামীদিনে পাল্টে দেবে ! আমেরিকার মতো উন্নাসিক দেশের মাটিতে ভারতের এই ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা (অবশ্যই মোদীজীর সৌজন্যে) ভারতবাসী হিসাবে সবাইকে গর্বিত করবে !
.
...শতাধিক বছর আগে এক নরেন্দ্র ভারতের গর্বের নিশানটা উড়িয়ে দিয়েছিলেন ! শতবর্ষ পরে আর এক নরেন্দ্র সেই গর্বকেই সীলমোহর দিয়ে এলেন ! স্বাভিমানী ভারতীয় হিসেবে তাই উদ্ধত মাথাটা তুলে সগর্জে বলে ওঠে ......ভারতমাতা কি জয় !
.
...এটা অবশ্যই ভারতীয় হিসেবে আমাদের চূড়ান্ত গর্বের বিষয়।
...জয় হিন্দ।
.
ভাষণের লিংক- https://www.youtube.com/watch?v=BpYnuZYT3J4
.
অটোগ্রাফের লিংক- https://www.youtube.com/watch?v=MGNiKDGU6vk

Wednesday, June 8, 2016

MTCR গ্রুপে যুক্ত হয়ে ভারতের সুবিধা কি হলো..?


MTCR গ্রুপে যুক্ত হয়ে ভারতের সুবিধা কি
হলো..?
.
.
.
মিসাইল টেকনোলজি কন্টোল রিজিম হলো
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্টিত হওয়া ৩৪টি দেশের এমন
একটি সংস্থা যারা ব্যালেস্টিক মিসাইল বা অন্য
যেকোন পরমানু, কেমিক্যাল, বাইলোজিল্যাক
অস্ত্র বহনকারী প্রযুক্তিকে পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশের মধ্যে সম্প্রসারিত হতে বাধা দান করে।
ভারত গত বছরেই এই গ্রুপের সদস্য হওয়ার
জন্য আবেদন করেছিল এবং এই গ্রুপের ৩৪টি
দেশের সর্বসম্মতিক্রমে গ্রুপের প্রবেশ করতে
চলেছে। এবার দেখে নি এরফলে ভারতের ঠিক কি
কি লাভ হতে চলেছে :
.
১. MTCR গ্রুপে যোগদানের ফলে ভারতের
নিউক্লীয়ার সাপ্লাই গ্রুপ বা NSG তে প্রবেশের
পথ আরো পরিষ্কার হয়ে গেল।
.
২. MTCR গ্রুপের সদস্য হওয়ার ফলে ভবিষ্যতে
ভারত সহজেই অত্যাধুনিক মিসাইল প্রযুক্তি
কিনতে পারবে।
.
৩. MTCR গ্রুপে ভারতের প্রবেশ করার ফলে
আমেরিকার থেকে অত্যাধুনিক প্রিডেটর ড্রোন
কেনার বিষয়ে আর কোন বাধা থাকলো না। এই
গ্রুপের সদস্য হওয়ার ফলে ভারত যেমন বিদেশ
থেকে ড্রোন কিনতে পারবে আবার সহজেই
উন্নত প্রযুক্তি হস্তগত করে দেশেই আরো
উন্নত ও অত্যাধুনিক ড্রোন বানাতে সক্ষম
হবে।
.
৪. ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে বানানো বিশ্বের
সবথেকে দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্রমোস মিসাইল টি
মাত্র ৩০০কিমি রেঞ্জের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল
কারন ভারত MTCR গ্রুপের সদস্য দেশ ছিল না
কিন্তু এখন উভয় দেশই এই গ্রুপের সদস্য
হওয়ায় ব্রমোস মিসাইল টির রেঞ্জ বৃদ্ধি করতে
ভারত রাশিয়ার সামনে আর কোন আন্তর্জাতিক
বাধা নিষেধ থাকলো না।
.
৫. ভারত ও রাশিয়া বেশ কয় এক বছর ধরেই
তাদের শব্দের থেকে তিনগুন গতিবেগ সম্পন্ন
ব্রমোস মিসাইল টি তৃতীয় দেশ গুলোকে বিক্রির
পরিকল্পনা করছিল। যার প্রথম ক্রেতা হতে
চলেছে ভিয়েতনাম। MTCR তে ভারতের সদস্যপদ
পাওয়ার ফলে ভারতের নিজস্ব ও যৌথভাবে
প্রস্তুত করা মিসাইল বিদেশী রাস্ত্রের কাছে
বিক্রি করার আর কোন বাধা থাকলো না।
.
৬. MTCR গ্রুপে যোগদানের ফলে এই গ্রুপের
দেশ গুলোর সাথে ভারতের কুটনৈতিক সম্পর্ক
আরো জোড়দার হবে এবং এরফলে ভারত বিনা
বাধায় এইসব উন্নত রাস্ত্রের থেকে বিভিন্ন
সামরিক বা অসামরিক প্রযুক্তি আমদানি করতে
পারবে।